সারেঙ ডেস্ক
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপতৎপরতা রুখতে বিবৃতি দিয়েছেন ৮১ লেখক-শিল্পী। ২৭ নভেম্বর গণমাধ্যমে নকিব হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে আসছে দেশি-বিদেশি একাধিক চক্র। নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল দেখতে চায়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রদের ‘সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণার চক্রান্তমূলক একটা জবাব। কারণ সংহতি সপ্তাহ যে একটা সঠিক ও শক্তিশালী কর্মসূচি, যা গণশক্তি সংহত ও শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা কমাতে পারে। আমাদের আহ্বান, সংহতি সপ্তাহকে জাতীয় সংহতি করে তুলুন। সহিংস হবেন না।
এমতাবস্থায় দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের জনগণকে সচেতন ও সজাগ হওয়ার জন্য দৃঢ় আহ্বান করছে বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কলমযোদ্ধাদের জোট বৈষম্যবিরোধী কবি-লেখক-শিল্পী ডায়াস। জোটের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার অনুরোধ করছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র করে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য বিবেক, বিচক্ষণতা কাজে লাগিয়ে দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
পরিশেষে বাংলাদেশের জনজীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করছি। বিবৃতিদাতারা হলেন—কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি ও কথাসাহিত্যিক কাজল শাহনেওয়াজ, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও অনুবাদক সাখাওয়াত টিপু, কলামিস্ট ও গবেষক আ-আল মামুন, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, কবি ও অনুবাদক এনামূল হক পলাশ, কবি ও গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ও ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র সম্পাদক এহসান হাবীব, কবি আলতাফ শাহনেওয়াজ, গবেষক ড. খান সুবায়েল বিন রফিক, লেখক ও গবেষক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, লেখক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি ও সংগঠক শওকত হোসেন, চিত্রশিল্পী ডেরিল অদ্রি রায়, গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আওয়াল, কবি মাহবুব হাসান, কবি সালেহীন শিপ্রা, কবি নকিব মুকশি, কবি ও কথাসাহিত্যিক রাসেল রায়হান, কবি সাইয়েদ জামিল, কবি ও কথাসাহিত্যিক জব্বার আল নাঈম, কবি চঞ্চল বাশার, কবি আফসানা জাকিয়া, কবি ও কথাসাহিত্যিক শাদমান শাহিদ, কবি শামশাম তাজিল, কবি ও চিন্তক মুসা আল হাফিজ, কথাসাহিত্যিক আসমা সুলতানা শাপলা, লেখক ও গবেষক আদনান আরিফ সালিম, কবি ও সাংবাদিক শান্তা মারিয়া, কবি হাসান জামিল, কবি ফেরদৌস মাহমুদ, গল্পকার ও নারীবাদী লেখক রোমেনা আফরোজ, শিক্ষাবিদ ও চিন্তক জগলুল আসাদ, চিত্রশিল্পী শতাব্দী জাহিদ, কবি কাজী নাসির মামুন, কবি মালেকুল হক, কবি ও সম্পাদক বহ্নি কুসুম, কবি ওয়াহিদ রোকন, কবি ও সাংবাদিক জুননু রাইন, কবি সাম্য শাহ, শিশুসাহিত্যিক ও গীতিকার সুফি সুফিয়ান, কবি মাহমুদুর রহমান, কবি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সাইদ উজ্জ্বল, কবি শাহিন রিজভী, কবি মাসুম মুনাওয়ার, গীতিকার মহসিন আহমেদ, কবি ও নাট্যাভিনেতা মঈন মুনতাসীর, কবি মৃদুল মাহবুব, সংগঠক মুস্তাকিম বিল্লাহ, অনুবাদক ও চিত্রনাট্য পরিচালক নোমান প্রধান, কথাসাহিত্যিক পিন্টু রহমান, কবি রাজিয়া সুলতানা ঈষিতা, কবি ও ‘৩৬ জুলাই’ সম্পাদক রিদওয়ান নোমানী, লেখক ও আইনজীবী আবু সাঈদ বাহার, কথাসাহিত্যিক ফরিদুল ইসলাম নির্জন, কবি ও চিকিৎসক সাজ্জাদ সাঈফ, কবি সানোয়ার রাসেল, কবি ও উদ্যোক্তা সাঈদ হাফিজ, কবি ও অনুবাদক সাঈদ ইসলাম, কবি ও সম্পাদক সাজ্জাদ বিপ্লব, প্রকাশক সাঈদ বারী, কবি তারিক ফিজার, কবি তানভীর আহমেদ, কবি বিপ্রতীপ মোস্তাক, কলামিস্ট ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম,
কবি ও অনুবাদক আকিব শিকদার, কবি ও সংগঠক সুলতান স্যান্নাল, ছড়াকার ও কবি আহমেদ ইসহাক, কবি ও ‘জুলাইয়ের কথা’র সম্পাদক ইস্রাফিল আখন্দ রুদ্র, গল্পকার তাহের সিদ্দিকী, প্রকাশক মাহবুব রহমান, কবি ও সাংবাদিক কাফি কামাল, চলচ্চিত্র পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ, গবেষক রাজা আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশবাদী আবুল কালাম আল আজাদ, প্রকাশক আবু বক্কর রাজু, প্রকাশক মাহদী আনাম, কবি ও প্রকাশক হানিফ রাশেদীন, কবি পলিয়ার ওয়াহিদ।