সারেঙ ডেস্ক
‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’সহ অনেক অনবদ্য কবিতা-গানের স্রষ্টা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৮তম জন্মদিন নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) নানা আয়োজন ছিল কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালীতে।
পরে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও কবির অনুজ সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সবুজ বৈরাগী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম, ফাদার রিগন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ মন্ডল প্রমুখ।
আলোচনা শেষে রুদ্রের গান পরিবেশন করে তার গড়া সংগঠন ‘অন্তর বাজাও’।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আমাদের গ্রাম’র উদ্যোগে দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে নিখরচায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালের এই দিনে মোংলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি মারা যান। নাতিদীর্ঘ এই জীবনে রুদ্র অসংখ্য কালজয়ী কবিতা রচনা করেন। জীবদ্দশায় কবি সাতটি কবিতার বই ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য রচনা করেন। ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক জনপ্রিয় গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন তিনি। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।
‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কবিতার বই দুটি জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দুই বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন রুদ্র। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য।