ড. আবুল কাসেম হায়দার
“যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি।
দেশী ভাষা যার মনে না সুধায়এ
নিজ দেশ ত্যাগি কেন বিদেশে না যায়।”
-নুরনামা কবি আব্দুল হাকিম
‘নুরনামা’ কবি আব্দুল হাকিমের একটি খুবই ছোট্ট কাব্য গ্রন্থ। কাব্যটি ফরাসী ভাষায়। তা থেকে লেখক বাংলায় অনুবাদ করেন। ‘নুরনামা’র মূল বিষয় হচ্ছে আল্লাহতায়ালা আপন আলো থেকে কিভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। এই নূর তত্ত্বের আদি উৎস হচ্ছে পবিত্র কোরআন শরীফ। পরবর্তীকালে কোরআনের এই নূরতত্ত্বের সঙ্গে আধ্যাত্ম চিন্তার সমন্বয়ে নতুন নতুন মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে।
কবি আবদুল হাকিমের ‘নুরনামা’ কাব্যে নূরের মহাত্ম বর্ণিত হলেও এ কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মাতৃভাষা চর্চার স্বপক্ষে কবির অকপট এবং সুস্পষ্ট বক্তব্য। এ কাব্যে কবির কবিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রও সীমিত। কাব্যটি সম্ভবত কবির শেষ বয়সের রচনা। এ কাব্যে অতিকথন ও পুনরুক্তি দোষ পরিলক্ষিত হয়।
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে ‘নুরনামা’ একটি জনপ্রিয় বিষয় ছিল, তাই মধ্যযুগের ‘নূরনামা’ ধারায় একাধিক কবির সন্ধান পাওয়া যায়। এরা হচ্ছেন কবি শেখ পরান, কবি মীর মুহম্মদ শপী, কবি আবদুল আলী, কবি দেবান আলী ও মুহম্মদ খাতের।
কবি আবদুল হাকিম আনুমানিক ১৬০০ থেকে ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বর্তমান ছিলেন। জাবি আবদুল হাকিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের বাল্যে বলে ডন এ আজ থেকে বহু করি আর অর্থাৎ ১৬২০ সালে কবি আবদুল হাকিমের জনা বলে ড. এনামুল হক তার এক গবেষনা প্রবন্ধে উল্লেখ করেন।
ড. রাজিয়া সুলতান সম্পাদনায় ‘আব্দুল হাকিম রচনাবলী’ গ্রন্থে ‘কবি আবদুল হাকিম আরক্তিম শিরোনামে উল্লেখ করেন। “কবি আবদুল হাকিম আনুমানিক ১৬০০ থেকে ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বর্তমান ছিলেন। তিনি বর্তমান নোয়াখালী জেলার ‘বাবুপুর’ ১৯২৬ায়ী ছিলেন। বাবুপুর সেকালে একটি সমৃদ্ধ পরগুনা বলে পরিচিত ছিল। কবির পিতার নাম শাহ রাজ্জাক এবং পীরের নাম মোহম্মদ শাহাবুদ্দীন। কবি তাঁর কাব্যের প্রায় সব ভনিতায় পিতা অথবা পীরের নাম উল্লেখ করে নানা বিশেষণে তাঁদের ভূষিত করেছেন। কবির পিতা ছিলেন জ্ঞানেতে প্রচন্ড, অতি ধীর স্থির গুণগন, সশাস্ত্র বিশারদ এবং ‘শাস্ত্র জানে বৃহস্পতি। পীর সাহাবুদ্দীন ছিলেন- কৃপার সাগর, ‘গুণে অনুপাম, জ্ঞানে প্রদীপ তুল্য এবং সহস্র তপস্বী তিনি আমলেতে মন। কবির জীবন সাধনা ও ধর্ম সাধনা এ দুজনের প্রভাব বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল। এ প্রভাবের ফলেই কবি অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন।”
আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে কবি আবদুল হাকিমের জন্ম। চারশত বছর পূর্বে বাংলা সাহিত্য কেমন ছিল, মুসলিম কবি, লেখকদের চরিত্র কেমন ছিল, কিভাবে তারা বেড়ে উঠেছেন, কি আদর্শ নিয়ে কবিরের জন্ম ও বিকাশ তা আমরা আবদুল হাকিমের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করলে দেখতে পাবো। ড. মুহম্মদ এনামুল হক ‘মুসলিম বাংলা সাহিত্য’ নামে গ্রন্থটি প্রকাশ করেন ১৯৫৭ সালে। এই গবেষণা গ্রন্থে লেখক মুলত আধুনিক ও মধ্যযুগের মুসলিম সাহিত্য সাধনার সুসংবদ্ধ ও ধারাবাহিক ইতিহাস এবং মূল্যায়ন। উক্ত গ্রন্থে আবদুল হাকিমের জীবনী ও সমকাল সম্বন্ধে নিম্নেউল্লিখিত তথ্যসমূহ পাওয়া যায়।
(ক) বিভাগ পূর্ব নোয়াখালী জেলার অন্তরগত সন্দ্বীপের সুধারামে কবির জন্ম। (খ) কবির আবির্ভাবকাল আনুমানিক ১৬২০-১৬৯০ খ্রিস্টাব্দ (গ) কবির কাব্যের সংখ্যা আট। যথা : ১) ইউছুফ জোলেখা (২) লালমতি সয়ফুলমুলুক (৩) শিহাবুদ্দীন নামা (৪) নুরনামা (৫) নসীহ নামা (৬) চারি মকাম ভেদ *৭) কারবালা ও (৮) শহরনামা।
বেলাল মোহম্মদ ও আবুল কাসেম সন্দ্বীপ সম্পাদিত ‘সন্দ্বীপ সন্দর্শন’ সংকলন গ্রন্থে কবি আবদুল হাকিমের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হয়েছে। তাতে ড. এনামুল হকের মতানুসারে বলা যায়, ‘কবি ১৬২০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।’ এই গ্রন্থে জানা যায় কবির জন্ম স্থান সন্দ্বীপের ‘বাউরিয়া’ গ্রাম। কিন্তু উক্ত সংকলনে তাঁরা বিশেষ কোন তথ্য প্রমাণাদি কবির জন্মস্থান সন্দ্বীপের ‘বাউরিয়া’ গ্রামে যে তার উল্লেখ নাই।
অন্যদিকে ড. ওয়াকিল আহমদ তাঁর বাংলা রোমান্টিক প্রনরোপাখ্যান (১৯৭০) গ্রন্থে কবি আব্দুল হাকিমের ইউছুফ জুলেখা কাব্যের পরিচিতি ও মূল্যায়ন তুলে ধরেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি তাতে কবির জন্মস্থান নোয়াখালী জেলার কবি বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতামত অনুযায়ী কবি আবদুল হাকিম মতের কবি ছিলেন।
ড. আহমদ শরীফ রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বাঙালী ও বাঙলা সাহিত্য (২য় খণ্ড, ১৯৮৩) গ্রন্থে আবদুল হাকিমের কাব্যের আলোচনা করেন। তিনি কবির রচিত ইউছুফ জোলেখা, লালমোতি সয়ফুল মুলক, নুরনামা, শাহাবদ্দীন নামা প্রভৃতি গ্রন্থের আলোকে কবির বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের কথা বর্ণনা করেন। উক্ত গ্রন্থে কবির পরিচয় দিতে গিয়ে ড. আহমদ শরীফ বলেন, ‘বটতলার ছাপাপুঁথি সূত্রে জানা যায় নোয়াখালীর সুধারামে কবির পৈতৃক নিবাস ছিল।
ড. রাজীব হুমায়ুন ‘সন্দ্বীপের ইতিহাস (১৯৮৭) গ্রন্থে কবি আবদুল হাকিমের জন্মস্থান নোয়াখালী বাবুপুর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন নাই। তিনি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ও ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মন্তব্য আবদুল হাকিমের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে বলে অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য মনে করেছেন।
কবি আবদুল হাকিম মোল্লা জামীর ফরাসী কাব্য ‘উসুফ ওয়া জুলাইয়া’ কাব্য অনুসরণে তাঁর ‘ইউসুফ জুলেখা’ কাব্যটি রচনা করেন। ইউসুফ জুলেখা কাহিনীর মূল উৎস পবিত্র কোরআন শরীফ ও বাইবেলে বর্ণিত নৈতিক কাহিনী। বাইবেল ও কোরআন শরীফের কাহিনী মোটামুটি অভিন্ন। ইউসুখ জুলেখা কাব্যের ২য় পর্বে জুলেখার রূপ বর্ণনা: ইউসুফের স্বপ্নে আবির্ভাব শিরোনামে কবি বলেন:
কোরআনের অর্থ পড়ি আছে জেই জনে
রোয়েত করিল সে পন্ডিতের গণে।
জেই দিন হোন্তে প্রভু অনাদি নিধান।
সৃজন করিতে সৃষ্টি করিলা পণ্ডন।
‘পশ্চিমে তৈমুস নামে মহা নরপতি।
নৃপতি মন্ডল মধ্যে শ্রেষ্ঠ হন অতি।
মহা কুশলীল রাজা ভুবনে প্রচন্ড।
অতুল সম্পদ বহু ছত্র নব দন্ড।
মহা বীর্যশালী নৃপ শত্রু আগে যম।
বিক্রমে কেশরী জিনি অতুল বিক্রম।
ফারসী সাহিত্যে ফেরদৌসী ছিলেন মহাকবি। জামী ছিলেন সুফী কবি। ফেরদৌসী কাব্যে ইউছুফ জুলেখার যে বিস্তার আমরা লক্ষ্য করি, তা জামীর কাব্যে নাই।
জামীর কাব্যে ইউসুফ জুলেখার সুপরিচিত প্রণয় কাহিনীর অন্তরালে অধ্যাত্ম সাধনার ভাবই ব্যক্ত কাব্যে ইজামীর ন্যায় কবি আবদুল হাকিমের কাব্যে তেমনি প্রেম সাধনার কথা প্রাধান্য হয়েছে। ভাই কবি আবদুল হাকিমের কাব্যেও জামীর কাব্যের ন্যায় ইউসুফ জুলেখার পেয়েছে। বর্তনীয় শেষ হয়েছে। এ কাব্যে মোল্লা জামীর প্রভাব এত বেশি যে, অনেক ক্ষেত্রেই কবি চরানাগু অনুবাদে প্রবৃত্ত হয়েছেন।
‘লালমতি সয়ফুল মুলক’ কবি আবদুল হাকিমের একটি মৌলিক কাব্যগ্রন্থ। তখনকার বাংলা সাহিত্য ছিল পুথি সাহিত্য কেন্দ্রীক। বাঙালী মুসলিম সমাজে গ্রামে গ্রামে পতি সাহিত্যের চর্চা ছিল ব্যাপক। বাংলা সাহিত্য চর্চা বলতে তখন পুর্তি সাহিত্যকে বোঝানো হতো।
কবি আবদুল হাকিম এই কাব্যের নামকরণ করেছেন নায়িকার নাম অনুসারে। ‘লালমতি’ বা লালমোতি’ এই উভয় নামে কবিতা পাওয়া যায়। তবে অধিক ক্ষেত্রে কবি ‘লালমোতি’ শব্দটি বেশী ব্যবহার করেছেন। কবি এই কাব্যে একাধিকবার নায়িকা লালমোতিকে মণি-মুক্তা সদৃশ্য বরে উল্লেখ করেছেন।
‘লালমোতি সয়ফুল মুলক’ মূলত একটি প্রনয়োপাখ্যান কাব্য গ্রন্থ। কিন্তু এই কাব্যে কবি প্রণয় সংক্রান্তের চিত্র চেয়ে ব্যক্তি ও সমাজের নানা বিষয় মুখ্য করে তোলেছেন। এই কাব্যে বিভিন্ন চরিত্রের আচার আচরণে দাম্পত্য প্রণয়, গৃহের নানা সৌন্দর্য্য, সামাজিকতা এবং পারিবারিক সম্প্রীতির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রতিটি চরিত্রই বাস্তবধর্মী। সেই কারণে ‘লালমোতি সয়ফুল মুলক’ কাব্য গ্রন্থটি একটি জীবন ভিত্তিক প্রণয় উপাখ্যান মাত্র।
কবি আবদুল হাকিম তার নিজ ভাষায় ‘লালমোতি’ কাব্যে বলেন:
মনরঙ্গে হাসে বালা সহরিষ মন।
মুখ হচ্ছে স্রবে বহু অমূল্য রতন ॥
তা দেখি আ নৃপসুতা অতি মন রঙ্গ।
আরম্ভে কন্যার সঙ্গে কৌতুকের চঙ্গ।
সম সম বয়েসের নারী এক ধাম।
বসিল নানান রসে রঙ্গ আনুপাম ॥
কামিনী আগ্রেতে লজ্জা না গুণে কামিনী।
নানাছলে কহে বাক্য পরিহাস্য বাণী ॥
মালিনী চেনে রামা হাসে খল খুল।
অবিরত চবে মনিমুক্তা ঝলমল ॥
কবি আবদুল হাকিমের ‘দুররে মজলিশ’ একটি বিখ্যাত, বহুল প্রচারিত নীতিশাস্ত্রমূলক কাব্য গ্রন্থ। এই কাব্যে ১৫টি প্রতিলিপি আমরা দেখতে পাচ্ছি। ‘দুররে মজলিশ’ কাব্যে ৩৪টি ‘বাব’ রয়েছে। মূলের ন্যায় এ কাব্যেও মহানবী, বিভিন্ন পয়গম্বর, খলিফা, সাধক এবং মনীষীর হিতোপদেশ ও সৎ জীবনযাপনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কবি স্বাধীনভাবে বিষয়ের বিন্যাস, পরিমার্জন, পরিবর্তন এবং সংক্ষেপন করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কবি নতুন প্রসঙ্গ বা কাহিনীর অবতারণা করেছেন। কবির কাব্যের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি শুধু শাস্ত্র কথাই নয়, একটি সুন্দর এবং উপভোগ্য কাব্যও। এ কাব্যের ছন্দ ঝঙ্কার, শব্দ প্রয়োগ এবং উপমা রূপকের ব্যবহারে কবি বিশেষ কুশলতার পরিচয় প্রদান করতে সক্ষম হয়েছেন। কবির ভাষায় যেমন চমৎকার বর্ণনা আমরা দেখতে পাচ্ছি:
“কোথাতে আদম সুফী চাহ অনুমানি।
কোথাতে গেল হাওয়া মাতা জগৎ জননী।
কোথা গেল ঈসা মুসা হারুন দাউদ।
কোথা গেল জাকারিয়া ইউনুস সাউদ।
কোথা গেল ইব্রাহীম খলিল আল্লাহর।
কোথা গেল ওহি বুঝ ছাড়ি আ সংসার ॥
কোথা গেল সোলেমান ধীরবর কুমার।
কোথা গেল সিকান্দার ক্ষিতি অধিকার।
কোথা গেল ইউসুফ জোলেখা সুন্দরী।
কোথাতে মিশর রাজ্য কনকের পুরী।
কোথা গেল মোহাম্মদ নবী গুনবান।
পয়গম্বরগণ মধ্যে যে ইএ প্রধান ॥
কর তার প্রেমবন্ধু জগতের সার।
সেহি মোহম্মদ নবী রাসুল আল্লাহর ॥
(২য় পর্ব, দুররে মজলিশ)
কবি আবদুল হাকিম সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখিকা ডা. রাজিয়া সুলতানা ‘আবদুল হাকিম রচনাবলী’ ভূমিকার এক পর্যায়ে এসে বলেন:
কবির রচনাবলী বিচার করলে দেখা যায়, তিনি আরবী, ফারসী ও সংস্কৃতি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপন্ন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রে বিশেষ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। হাদিস, কোরআন, হেদায়া, শাফিয়া, ফিকাহ প্রভৃতি আরবী গ্রন্থ এবং বিভিন্ন শাস্ত্র তাঁর অধীত ছিল। ফারসী কাব্যের মধ্যে তাঁর পঠিত গ্রন্থ ছিল ‘নূরনামা’ সাইফুজ জাফর রচিত দুররুল মজলিশ, মোল্লা জামীর ‘ইউসুফ ওয়া জুলায়খা; ইউসুফ গদার ‘তোহফা’ নিজামী গঞ্জবী রচিত ‘সিকান্দার নামা’ প্রভৃতি। রামায়ন, মহাভারত, পুরানাদি, অভিজ্ঞান গাঞ্জবী মা’কুমার সম্ভব প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থও তাঁর পঠিত কাব্যের অন্তর্ভুক্ত। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সম্পদ বৈষ্ণব পদাবলী এবং ব্রজবুলি রীতির সঙ্গে কবি আবদুল হাকিম বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
কবি তাঁর বিভিন্ন কাব্যে আদর্শ জীবনাচরণ ও উন্নত জীবন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সম্ভবত: নিজেও সে সাধনার সাধক ছিলেন।
তাই কবি তার কাব্য ‘দুররে মজলিশে’ হালালের বিবরণ শিরোনামে বলেন:
যদি তোক্ষা প্রতি কেহ কর এ প্রচার।
হালার হারাম গোলে কহ তত্ত্ব সার ॥
কহিবা হালাল সেবা শুনহ বচন
কিতাব ফিকাহর মধ্যে আছএ লিখন ॥
যে সবে হালাল প্রতি হারাম জ্ঞান এ।
বুরা পথ ত্যাগ করি সে সবে চলবত ॥
রোজ কিয়ামতের কালে প্রভু বিদ্যমান।
হিসাবেতে সেসবে পাইবা পরিত্রাণ ॥
যে সবে হালাল দ্রব্য হারাম বোল এ
সে সব কাফির হএ জানি অনিশ্চিত্র ॥